By CJ Staff Reporter
পশুপালন একটি এমন সংস্থান যার উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল বাংলার অর্থনীতি।GDP এর একটা ভাল অংশ উঠে আসে এই ক্ষেত্র থেকে কিন্তু সরকারের উদাসিন মনোভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পশুপালনের সাথে যুক্ত থাকা মানুষজন।কারণ গুলি দেখে নেওয়া যাক-
প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগের অধীন সমস্ত পশু হাসপাতালগুলিতে আজ প্রশিক্ষিত সরকারি কর্মীর সংখ্যা খুবই নগণ্য ।একজন পশুচিকিত্সককে নির্ভর করতে হয় তাঁর অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর উপরে যাঁর নূন্যতম ধারণা নেই এই বিষয়ে । ফলত প্রতিদিন কোথাও না কোথাও নিরীহ অবলা প্রাণীর প্রাণ নষ্ট হচ্ছে ওষুধ প্রয়োগ পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে । আজ সরকারি অফিসগুলিতে কৃত্রিম গো-মহিষ প্রজননের সংখ্যা নগণ্য । গো-মহিষ , ছাগল ,ভেড়া , হাঁস-মুরগি ইত্যাদির টীকাকরণ সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না । দফতরের যে কোন Field level কর্মসূচিকে সাফল্যমণ্ডিত করতে বাইরের কিছু লোকজনের উপরে ভরসা করতে হয় সমষ্টি প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন আধিকারিককে । কখনও কখনও তাও সম্ভব হয় না।সর্বোপরি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগের মধ্য দিয়ে যে উন্নয়নের বারিধারা প্রবাহিত করে চলেছেন তা সম্পূর্ণ হচ্ছে না । এর একটিই কারণ --- প্রাণীসম্পদ বিকাশ সহায়ক (Livestock Development Assistant ) এর অভাব । এই পদাধিকারী প্রশিক্ষিত কর্মীরা চিকিত্সা সংক্রান্ত যেকোনো সহায়তা , কৃত্রিম প্রজনন, টীকাকরণ সহ দফতরের Field Level এর যেকোনো কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করতে সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকে । প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে Animal Development Aid Centre আছে যেখানে এঁদের কে নিযুক্ত করা হয় গ্রামীণ মানুষকে সরকারি পরিষেবা বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ।কিন্তু এসব আজ অতীত । প্রায় 90% পদ শূন্য । মানুষ আজ বঞ্চিত । প্রায় 900 প্রশিক্ষিত ছেলেমেয়েকে বসিয়ে রাখা হয়েছে । তাঁদের ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগ উদাসীন ।
এর ফলেই প্রশিক্ষিত ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে জমছে ক্ষোভ এবং হতাশা।সকলেই চাইছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক।